কতোরাত এভাবেই কেটে গেছে ,
এই জনপদের অলিতে গলিতে, নির্ঘুম ক্লান্ত দুচোখ ,
কুয়াশার চাদর গায়ে জড়ানো , কতোগুলো শীতার্ত রাত ,
ল্যাম্পপোস্টের মৃয়মান আলোয় একাকী দাড়িয়ে থাকা ,
প্রেয়সীর আলিঙ্গন আর উষ্ঞ বিছানাকে অবহেলায় রেখে
কতোবার বাশি ফুকে বলতে হয় ,
গৃহস্থ , হু–শি–য়া–র !
এভাবেই কেটে গেল কতো শতো কার্তিকের রাত ।
একদিন ভোর হবে বলে , মুখোশ আটা শুকরের পাল
যাতে নষ্ট না করে আমার জমিন ,
বরাহকূলের বিপরীতে বরাবর আমি তাই
এই সব ধানক্ষেত , পাটক্ষেত পাহারা দিতে দিতে
মশালের আগুন আলোয় নিজেকে রাঙিয়ে ,
চোঙা ফুকে বলি ,
”এ্যাই….রেরে…..রেরে…..রে……………”।
জনৈক জারজ এসে , বইপত্র খুলে তার চশমার ডাটি ঠুকে বলে,
” এবার ঘুমাতে যাও , শুকরের সাথে সহবাস বৈধ ঘোষিত হয়েছে পার্লামেন্টে ,
এই দেখো ৩৬ বছরের পুরনো দলিল ;
জনৈক হিজড়া বুদ্ধিজীবি এসে তার উকুন ভরা চুল নাচিয়ে বলেন,
” এবার ঘুমাতে যাও শূকর তাড়ানো বাদ দিয়ে,
নয়তো রাত করে শোরগোল করার অপরাধে ,
তোমার বিচার হবে বিশেষ আদালতে ,
তোমাকে রাতের গুন্ডা তকমা লাগিয়ে,
অচিরেই করা হবে ক্রসফায়ার ।
জনৈক ব্যবসায়ী , তার ক্যালকুলেটর চেপে হিসেব কষে দেখান ,
তারপর বলেন ,” এই সব শুওরের জন্মহার বড্ড বেশী ,
উৎপাদনমূখী অর্থনীতিতে তাই শুকরের নিরাপদ বংশ বিস্তার দরকার ,
আপনি এবার ঘুমাতে যান । “
একজন সুশীল , তিনি ফতোয়া দেন ,
শুকরের সাথে বসবাস হারাম বটে , তবু সেজন্য তেড়েফুড়ে আসা ,
বর্শার ডগায় খপাখপ শূকরকে গেথেঁ ফেলা , বড্ড বেশি অসংস্কৃত ।
একজন অসুশীল সমাজ বিজ্ঞানী তার গবেষনা পত্রে বলেন,
শুকরকে বর্জন করুন , আসুন আমরা শুকর বর্জন করে
ঘরে খিল এটে বসে থাকি ।
বিশ্বাস করুন বন্ধুগন ,
আমি আপনাদের সব কথা
মাথা নত করে শুনে যাই ।
আমারও নিদ্রার প্রয়োজন ,
আমারও প্রেয়সীর সাথে
একরাতে অভিসারের অভিলাষ জাগে ;
তবু , আমি এখানেই রয়ে যাবো ,
দেখাবো চূড়ান্ত গোয়ারামি ,
সবার সব কথায় অবিশ্বাস রেখে
আমি শূকরের সাথে সহবাসের ফতোয়া অস্বীকার করি ।
তোমাদের মাঝে যারা শুকর প্রেমিক ,
তারা স্ত্রী -কন্যাকে তাদের হাতে তুলে দাও গোপনে ,
চুমু খাও বরাহ ঠোটে ,
টিপে দাও জারজ শুওরের রসালো গাল ।
তবু ,
আমি আছি বর্শা হাতে নিদ্রাহীন,
বেচেঁ থাকতে এই ভূমে ,
প্রবেশাধিকার পাবে না ,
তোমাদের শূকরের পাল ।
এইসব ক্লান্তিনামা – হোসেইন(!!)