তারেক মাসুদের ‘রানওয়ে’ ছবিটা দেখলাম। অসাধারন! অবিশ্বাস্য! জবান বন্ধ হয়ে গেছে ছবিটা দেখে। এই ভাঙ্গাচোরা দেশে, ভাঙ্গাচোরা যন্ত্রপাতি/প্রযুক্তি, ভাঙ্গাচোরা অভিনেতা নিয়ে, এককথায় ওয়ার্ল্ড ক্লাশ ছবি। প্রতিটা শটে পরিকল্পনার এবং মুন্সীয়ানার ছাপ স্পষ্ট, নিখূত এবং দুর্দান্ত । অভিনেতা/অভিনেত্রীরা বেশির ভাগই নতুন। অভিনেতা/অভিনেত্রী সিলেকশন এক কথায় দুর্দান্ত। আর তাদের অভিনয়ও চমৎকার। আর ক্যামেরার কাজ (মাশুক মূনিরের), লা জওয়াব, এক কথায় অসাধারন। ছবির শেষটাও হয়েছে চমৎকার। এর চেয়ে ভালো পজিটিভ ফিনিশিং হইতে পারত না। আমার পছন্দ হইছে।
ছবিটায় দারিদ্র, অভাব, অনটন আছে। কিন্ত যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে, আমাদের মানুষের দারিদ্র, অপমান আর অসম্মান বেচার কোন চেষ্টাই নাই ছবিটাতে (অনেকসময় বিকল্প ধারার ছবিগুলতে যা থাকে)। ছবির মূল চরিত্রগুলোর আপনার বা আমার দয়া বা করুনার দরকার নেই। তার নিজেরা (বা নিজেদের পরিবার) নিজেদের ভার বইতে সক্ষম। সুলতানের ছবির মানুষগুলোর মত।
তারেক মাসুদের মেধা, ম্যাচুরিটি আর লেভেলটা বোঝা ছবিটা দেখলে। নিসঃন্দেহে তারেক মাসুদ ওয়ার্ল্ড ক্লাশ মানের ডিরেক্টর। কস্ট একটাই তারেক মাসুদ নাই। এই মানের আর একটা ছবির বা আরেকটা তারেক মাসুদের জন্য বাংলাদেশকে মনে হয় অনেকদিন অপেক্ষা করতে হবে। এইরকম একটা ডিরেক্টর বাইরের কোণ দেশে জন্মাইলে তারে নিশ্চয় মাথায় করে রাখত। আমাদের দেশে যদি কেউ কিছু করতে তারে মনে রাখার জন্য।