সাকিবকে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছয় মাসের জন্য। আর দেড় বছরের জন্য দেশের বাইরে খেলা থেকে। খবরটা কাল টিভি চ্যানেল এ দেখে হতভম্ব। সাকিব ঠিক করেছে না ভুল করেছে, বিসিবি ঠিক করেছে না ভুল করেছে, তা নিয়ে কোন মন্তব্য করবনা। শুধু মনে হচ্ছে অন্যভাবে পুরো বাপারটার অন্যভাবে, পরিনত ভাবে সমাধান করা যাইত। সাকিব এর চেয়ে আর একটু বেশী সম্মান এবং বিবেচনা পাওয়ার যোগ্য।
আমার কেন জানি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জোতি বসুর কথা মনে হইল। তারে ভারতের প্রধান মন্ত্রীর অফার দেয়া হয়েছিল। কিন্ত তার পার্টি তারে অনুমতি দেয়নি, প্রধানমন্ত্রীর হইতে। সেই সময় নিশ্চয় তার পার্টির অন্য মুরব্বীরা, তাদের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে কঠিন কঠিন যুক্তি দেখায়েছে (এখন যেমন বিসিবি দেখায়তেছে) । জোতি বসু প্রধানমন্ত্রী হইলে কোন উনি কোন লেভেলে যাইতেন, তা সম্পর্কে মনে হয় তার পার্টি নেতাদের দের ধারনা ছিলনা (অথবা তারা চাননি জোতি বসুর অত উপরে উঠূক) । অনেক দিন পরে সব কিছু শেষ হয়ে যাবার পরে, এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ বা ‘হিস্টোরিক ব্লান্ডার’ বলেছিলেন জ্যোতি বসু |
আমরা একটা সাকিব পাইছি ৪৩ বৎসরে। সাকিবের আগে কেউ কি কল্পনা করেছে আইসিসি র্যাংঙ্কিং এর টপে, দীর্ঘদিন ধরে কোন বাংলাদেশীর নাম!
সাকিবের ব্যান এর খবরে, একটা বহুল প্রচলিত জোক এর কথা মনে হইতেছে। বাংগালীরা নাকি যে দোজখে থাকে, সেই দোজখে নাকি কোন পাহারাদার লাগে না। কারন একজন দোজখ থেকে বের হতে চাইলে, বাকি সবাই মিলে ঠ্যাং ধরে নামায়ে আনে, ব্যাটা যাইতেছ কোথায়, আমাদের লেভেলেই থাক।
আমরা জাতিগত ভাবে মনে হয় দোজখের এই জোক এর উপরে উঠতে পারি নি। এই ‘জোক’ শব্দটা বাংলা বা ইংরেজী দুই ভাষারই ‘জোক’ শব্দ হিসবে ধরতে পারেন